আমদানী বা রপ্তানীতে প্রাইজ কোটেশন?
বৈদেশিক বানিজ্যে বা পণ্য রপ্তানীর ক্ষেত্রে আমাদের দেশর রপ্তানীকারকগন ক্রেতাকে বা আমদানীকারককে পণ্যের মূল্য জানানোর জন্য কতিপয় সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করে থাকেন এগুলোকে মূল্য জ্ঞাপন বা প্রাইজ কোটেশন বলে।
নিম্নে বৈদেশিক বানিজ্যে ব্যবহৃত কতিপয় মূল্য জ্ঞাপন বর্ননা করা হল।
১/ এফ ও বি (ফ্রী অন বোর্ড) ঃ বৈদেশিক বা রপ্তানী বানিজ্যে বহুল ব্যবহৃত মূল্য জ্ঞাপন গুলোর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বতম পদ্ধতি হল এফ ও বি(FOB) এদ্বারা বোঝানো হয় যে পণ্য জাহাজে ওঠানো পর্যন্ত যাবতীয় খরচ পণ্য মূল্যের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে অর্থাৎ পণ্য জাহাজে উঠানো পর্যন্ত যাবতীয় খরচ বিক্রেতা বহন করবে।
২/ সি এন্ড এফ(কষ্ট এন্ড ফ্রেইট) ঃ এই মূল্য জ্ঞাপন পদ্ধতিতে পণ্যের মূল্যের সাথে জাহজ বা বিমান ভাড়া অন্তর্ভুক্ত থাকে এক্ষেত্রে একমাত্র বীমা খরচ ব্যতীত পণ্য প্রেরনের অন্যান্য যাবতীয় খরচ বিক্রেতা বহন করে থাকে। তবে রপ্তানীকারকের গুদাম হতে আমদানী কারকের বন্দর পর্যন্ত পণ্য পৌছে দেওয়ার যাবতীয় দায়-দায়িত্ব রপ্তানীকারক বহন করবে।
৩/ সি আই এফ( কষ্ট ইন্সুরেন্স এন্ড ফ্রেইট) ঃ মূল্য জ্ঞাপনের এর সাথে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হলে বুঝতে হবে যে, পণ্যের মূল্যের সাথে ক্রেতা বা আমদানীকারকের নিকট পন্য পৌছানোর জাহাজ ভাড়া ও বীমা খরচ বিক্রেতা বা রপ্তানীকারক বহন করবে।এই মূল্যজ্ঞাপন এর সময় রপ্তানীকারক সি এন্ড এফ মূল্যের সাথে বীমা খরচ বাবদ অতিরিক্ত টাকা যোগ করে থাকেন । সাধারনত ১% হতে ২ % এর মত বীমা খরচ বাবদ ধরা হয়।
৪/ সি আই এফ এন্ড ই(কস্ট ইন্সুরেন্স ফ্রেইট এন্ড এক্সেচেন্জ) ঃ এই সাংকেতিক শব্দটিতে বুঝতে হবে ক্রেতা বা আমদানীকারকের কাছে পন্য প্রেরনের বীমা খরচ , জাহাজ ভাড়া ও বৈদেশিক মুদ্রাবিনিময় জনিত খরচ পণ্যের মূল্যের মধ্যে ধরা হয়েছ।
৫/ সি আই এফ সি এন্ড আই(কষ্ট ইন্সুরেন্স ফ্রেইট কমিশন এন্ড ইন্টারেষ্ট) ঃ মূল্য জ্ঞাপনের এর সাথে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হলে বুঝতে হবে যে, জাহাজ ভাড়া , বীমা খরচ , সুদ (রপ্তাণী ঋনের) বর্ণিত খরচগুলো বিক্রেতা বা রপ্তানীকারক বহন করবে।
চলমান.........
কোন মন্তব্য নেই